নেত্রকোণার মদনে দুলাভাইয়ের ধর্ষণে শ্যালিকার সন্তান জন্ম হওয়ার ঘটনায় মানিক মিয়া (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে মদন থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতকে রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতে নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মানিকের সঙ্গে রং নাম্বারে প্রেমের সম্পর্ক হয় নেত্রকোনার মদন উপজেলার ভুক্তভোগী তরুণীর (১৯) বড় বোনের। দীর্ঘদিন আগে প্রেমের টানে মানিক মিয়া মদন উপজেলায় এসে ওই তরুণীর বড় বোনকে বিয়ে করে মদনেই সংসার জীবন শুরু করে। সংসার জীবনে ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের।
সম্প্রতি মানিক মিয়া তার শ্যালিকাকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার এক পর্যায়ে ওই তরুণী (শ্যালিকা) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে মানিক মিয়া পালিয়ে নোয়াখালীতে চলে যায়। এ দিকে গত জুন মাসে ওই তরুণী (শ্যালিকা) একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোনা আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২১ সেপ্টেম্বর মদন থানায় মামলা রজু করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে মদন থানার এস আই আব্দুল আজিজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার রাতে নোয়াখালীর সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রাম থেকে মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে মদন থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মানিক মিয়াসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছে। প্রধান আসামি মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে রবিবার বিকালে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।